সুখ নিয়ে উক্তি
কিভাবে আমরা সুখী হব, সুখ নিয়ে উক্তি কি? কিভাবে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখবো, সুখী মানুষ হওয়া এবং মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য আমাদের মধ্যে থাকতে হবে কিছু কৌশল যা আমাদের জীবনে সুখ বৃদ্ধির সাথে সাথে মানসিক সুস্বাস্থ্য নিয়ে বাঁচার জন্য উৎসাহিত করে। তেমনি দুটি বিষয় সহমর্মিতা প্রদর্শন ও আশাবাদী হওয়া। চলুন নিচে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করি।।
সুখী মানুষ
সহমর্মিতা প্রদর্শন:
এ কর্মকৌশলের মাধ্যমে ব্যক্তিগত সম্পর্কের ইতিবাচক আবেগ কে শক্তিশালী করার দিকে মনোযোগ দেওয়া হয়। প্রকৃতপক্ষে সুখী হতে হলে, অন্তরে প্রশান্তি আনতে হলে, মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে, ব্যক্তিগত ও পেশাগত উভয় ক্ষেত্রেই সুস্থ সামাজিক বন্ধন অবশ্যই প্রয়োজনীয়। অন্যের প্রতি একাত্মতা অনুভব করা, তাদের প্রতি সহমর্মী হওয়ার গুণ কে শক্তিশালী করা যায়। ব্যক্তি বর্তমানের সঙ্গে গভীরভাবে মনোনিবেশের সাথে সংযুক্ত থেকে নিজের প্রতি ও অন্যের প্রতি ইতিবাচক অনুভূতি তৈরি করতে পারে। সহমর্মী হওয়া ভিত্তিক কর্মকৌশলের প্রতি দৃষ্টি দেওয়া হয়; কার্যকর যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা, নিজের ও অন্যের মধ্যকার পার্থক্যটুকু কাটিয়ে তোলা, আশেপাশে মানুষের সাথে সেতুবন্ধন করার মাধ্যমে সম্পর্ক তৈরি করার দিকে মনোনিবেশ করা। আর এর জন্য প্রয়োজন অন্যদের প্রেক্ষিতঃ বিশ্বাস, আবেগ, ধারণাকে সঠিকভাবে বুঝতে পারা এবং তাদের সঙ্গে একটি শক্ত দৃঢ় বন্ধন তৈরি করা।আশাবাদী হওয়া:
আশাবাদী হওয়ার কর্মকৌশলের মাধ্যমে বাস্তবভিত্তিক প্রত্যাশা তৈরি করে ইতিবাচক ফলাফল পাওয়ার চেষ্টা নেওয়া হয়। আমরা আশাবাদী হবো নিশ্চয়ই তবে তা হতে হবে বাস্তবসম্মত। সে ক্ষেত্রে নিজের সম্পর্কে আশাবাদী হওয়া যায়, ধারণা করুন আপনি ভবিষ্যতে নিজেকে কেমন অবস্থানে দেখতে চান সেটা। এভাবে নিজেকে নিয়ে কল্পনায় মানুষ নিজেকে কোন অবস্থানে দেখতে চাই সেটি প্রমাণ করে এবং নিজে নিজের সঙ্গে এবং অন্যদের সঙ্গে কতটুকু ইতিবাচক রয়েছেন সেটা বুঝা যায়। আশাবাদী হওয়ার ফলে আমাদের শক্তিমত্তা, আমাদের অর্জন এবং আমাদের জীবনের ফলপ্রসূ অংশগুলো দিকে মনোযোগ নিবদ্ধ রাখতে বলা হয়। আর এর ফলে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার পাশাপাশি নিজের প্রতি অন্তর্দৃষ্টি লাভ হয় এবং তা আমাদেরকে দৈনন্দিন জীবনে কোন ভুল পথে চলে গেলে তা স্মরণ করিয়ে দেয় এবং তার পরিবর্তে আমরা কোন আদর্শ মানদণ্ডের জীবন পরিচালিত করব সে পথের নির্দেশনা দেয়।নিজেকে অর্থপূর্ণ মনে করতে হবে, নিজেকে অর্থপূর্ণ মনে করার কৌশল গুলোতে শেখানো হয় কি কি আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ, অর্থপূর্ণ এবং কেন সেগুলো অর্থপূর্ণ? আর সেই অর্থপূর্ণ জীবনের উপাদানগুলোকে অর্জন করতে কি করতে হবে, সেগুলোর দিকে মনোযোগ দেওয়া হয়। যাদের জীবনের লক্ষ্য ও প্রত্যাশা সম্বন্ধে সুস্পষ্ট ধারণা রয়েছে তারা জীবনে অধিক বেশি মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারে এবং সুখী ও তৃপ্ত থাকে। এক্ষেত্রে বলা যায় দৈনন্দিন জীবনে কাজকর্মে অর্থ বা মূল্য খুঁজে নেওয়া, বাস্তবসম্মত লক্ষ্য নির্ধারণ করা, লক্ষ্য অর্জনে কার্যকর পদ্ধতি গ্রহণ করা এবং আমাদের চিন্তায়, আবেগে সে অর্থময়তার প্রতিফলন ঘটানো। আর এগুলোর মাধ্যমে আমরা যেমন সুখী হব তেমনি মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারব।
আরো কিছু জনপ্রিয় টপিকস:
- অহেতুক চিন্তা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখবেন যেভাবে।
- Different Types of Psychosomatic Disorders
- ক্ষমা করা এবং ক্ষমা চাওয়ার কিছু প্রয়োজনীয় টিপস।
- শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ভীরুতাকে জয়।
- কিভাবে দুশ্চিন্তা দূর করা যায়?
- জীবনে সুখী হওয়ার উপায় ।
- How to Protect Human Rights.
- Mental Health Disorders and How to Solve.
0 Comments
Feel free send us your options.