-->

কিভাবে দুশ্চিন্তা দূর করা যায়?

দুশ্চিন্তা দূর করার উপায়। কিভাবে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখবো। দুশ্চিন্তা দূর করার উপায়। ভালো থাকতে হলে জানতে হবে। কিভাবে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখবো।

দুশ্চিন্তা দূর করার উপায়।

 

দুশ্চিন্তা দূর করার উপায়।

জীবন অর্থহীন হয়ে, পড়ে থমকে যায়, যখন দুশ্চিন্তায় ভেঙ্গে পড়ে, মন ভারাক্রান্ত হয়ে পড়ে,  এই চিন্তায় যে, কি সর্বনাশ হয়ে গেল একূল-ওকূল সব হারালাম এবং সব ভরসা শেষ হয়ে গেল। এভাবে জীবনে বহুবার আমরা আশাহীন হয়ে, দুশ্চিন্তায় ভগ্নপ্রায় হয়ে, চুপসে যায়; দমে যায় অথচ জীবনের পথ হাঁটা তা এই বলে থেমে থাকে না।  আমাদের জানতে হবে দুশ্চিন্তা দূর করার উপায়, সামনে এগিয়ে যেতে হবে যতই বাধা আসুক। কিন্তু এ উদ্দীপনা আমাদের সব সময় উজ্জীবিত রাখেনা। তার কারণ আমাদের প্রত্যাশা, লক্ষ্য, প্রণোদনার জায়গাগুলো এবং ক্ষেত্রগুলো সীমিত ও অনড় থাকে। আমাদের কারো লক্ষ্য ডাক্তার হওয়া, কারো বা ইঞ্জিনিয়ার, বড় আমলা বা বড় ব্যবসায়ী হওয়া, কেউ চায় অর্থ ধন-সম্পদ, সহায় সম্পত্তি, খ্যাতি, আবার কেউ কেউ চায় উচ্চপদ, সম্মান ও প্রতিপত্তি। এ প্রত্যাশা, আকাঙ্ক্ষা বা লক্ষ্য ওগুলো যদি হয় সুনির্দিষ্ট সীমিত ও অনড় তাহলে সঠিক প্রত্যাশা পূরণ হয়না; অন্যদিকে অনেক অর্জন থাকলেও তারা সারাজীবন হীনমন্যতা, দুশ্চিন্তা ও অশান্তিতে ভুগতে থাকে।

দুশ্চিন্তা দূর করার উপায়।







যিনি অন্যদের কাছ থেকে পছন্দ, ভালোবাসা, সম্মান, স্বীকৃতি ইত্যাদির কাঙ্গাল তিনি অনেক বড় পদে থেকেও, অনেক অর্জন থাকা সত্বেও, অন্তর জ্বালায় বলতে থাকেন। সারাক্ষণ ভাবতে থাকে তাদের পছন্দ, অনুরাগ পাচ্ছিনা।


আবার কেউ আছে এসব পেয়েও সেটি তাকে সন্তুষ্ট করে না, তার আফসোস থাকে ওর মতন বিদ্বান হতে পারলাম না। অত বড় উঁচু পদে বসতে পারলাম না।
কেউ ব্যবসায়ী ধনী স্বামী পেয়ে অন্তর জ্বালায় জ্বলে থাকেন সুপুরুষ উচ্চ শিক্ষিত, সমাজের জ্ঞানী সম্মানী স্বামী পেলাম না। 

আবার কেউ উচ্চ শিক্ষিত জ্ঞানী স্বামী পেয়ে দুশ্চিন্তায় ভোগেন টাকাপয়সা ওয়ালা ব্যবসায়ী স্বামী পেলাম না; জীবনের ন্যূনতম চাহিদা কিছু মিটলোনা । এভাবে আমাদের জীবনে দুশ্চিন্তা লেগেই থাকে।

আমাদের মোটিভেশন আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশা ছোটকাল থেকেই গড়ে ওঠে; দু-একটি তেমন প্রত্যাশা বা আখাংকা জীবনের অন্যতম অদৃষ্ট লক্ষ্য হয়ে পড়ে। 

পরবর্তী জীবনে ঠিক সেই প্রত্যাশা পূরণ না হলে; অন্য আর যত প্রাপ্তিই থাক তার মন অপূর্ণ থাকে। যেন জীবনের মূল সুরটি  হারিয়ে গেছে। একটি অতৃপ্ত বেদনা বোধ নিয়ে বাকি জীবনটা কাটিয়ে থাকে। অথচ তার জীবনটি তেমন হওয়ার কথা ছিল না। যদি জীবনের আকাঙ্ক্ষা প্রত্যাশা গুলো বহুমুখী হয়, নমনীয় হয়, সে ক্ষেত্রে একটি দরজা বন্ধ হয়ে গেলেও খুলে যায় হাজার হাজার দরজা। 

জীবনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য হওয়া উচিত সুখে থাকা, সম্মানে থাকা। শুধু এটি পেলে তেমনটি হলেই সুখী হব, সম্মানিত হব, এরকম ক্ষুদ্র দৃষ্টিভঙ্গি থাকলে জীবনে চলার পথে; বাঁচার পথ হয়ে পড়বে সীমিত। 

দুশ্চিন্তা দূর করার উপায়।







 তাই প্রত্যাশা ও লক্ষ্য গুলো যেন সীমিত ও অনড় হয়ে না পড়ে; সেদিকে লক্ষ্য রাখা দরকার।  আপনি বেশ মেধাবী ভালো চাকরি করেন সৃষ্টিশীল কাজেও নিয়োজিত আছেন, অথচ আপনি হয়তো মুখ-চোরা, লাজুক, অন্তর্মুখী মানুষ।  স্বাভাবিকভাবেই জনপ্রিয়তা পাওয়া বা সামাজিক হওয়া আপনার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। তাই আপনার যদি একরোখা মনোভাব থাকে যে যেভাবেই হোক সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা পেতে হবে সবার পছন্দ স্বীকৃতি অর্জন করতে হবে তা না হলে আমি যোগ্য সফল সম্মানিত শ্রদ্ধেয় মানুষ নয়। সেক্ষেত্রে বাকি অনেক অর্জন ও প্রাপ্তি থাকা সত্ত্বেও আপনি হবেন অসুখী অসফল মানুষ। এই দুশ্চিন্তা দূর করার উপায় একটি আছে; ‌ মনে রাখতে হবে প্রত্যেকের ব্যক্তিত্বের ধরণ গঠন, তার নিজস্ব মেধা, কুশলতা, তার পারিপার্শ্বিক, আর্থ-সামাজিক পরিবেশ ইত্যাদির উপর নির্ভর করে, এক একজনের জীবনের অর্জন ও প্রাপ্তি। 

এটি সন্তুষ্ট মনে গ্রহণ করে, গর্বিত থাকায় সুখী হওয়ার প্রধান শর্ত। অন্য কি হতে পারলাম না বা পারতাম, ওরকম হলে ভালো হতো, এ ধরনের মনোভাব একরোখা অনড় জীবন দৃষ্টির পরিচায়ক।


Post a Comment

0 Comments