কিভাবে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখবো?
আমাদের জানতে হবে কিভাবে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখবো সেটা, সুস্থ থাকতে হলে জানতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে আমাদের সর্বপ্রথম দরকার অন্যের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা।
Image by Author |
কৃতজ্ঞ থাকার উপায়: যারা অন্যের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকে তাদের মধ্যে সব সময় অন্যের প্রতি ইতিবাচক অনুভূতি কাজ করে। কথায় আছে, ' যদি তুমি সুখি হতে চাও তবে কৃতজ্ঞ থাকো'।
কৃতজ্ঞ থাকা সবচেয়ে কার্যকরী কৌশল হচ্ছে নিজের মধ্যে যা কিছু আছে তার জন্য সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। আমরা জন্মের পর থেকে আজ পর্যন্ত কত কিছুনা পেয়েছি, আর যা কিছু পেয়েছি তার জন্য সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানাবো। একটু বিশ্লেষণ করলে আমরা অনেক কিছু পাব যেমন: এই সুন্দর প্রকৃতি, সমাজ, পরিবার, প্রিয়জন, কর্মজীবনে সব জায়গা থেকে যেসব প্রতিদান পেয়েছি আমরা সেগুলোর জন্য আমাদের সৃষ্টিকর্তা কে কৃতজ্ঞতা জানাবো। কোন কিছু পেয়ে যদি আমরা তৃপ্ত, গর্বিত, সুখী না হয় আমরা কি সেটার জন্য শুকরানা জানাবো? তাই যে ব্যক্তি জীবনের যত বেশি শুকরানা/ কৃতজ্ঞতা জানাই স্বাভাবিকভাবে তার জীবন অনেক বেশি সম্পদশালী ও সন্তোষজনক হয়।
Image by Author |
আরেকটি কৌশল আছে যখন এক্ষেত্রে আমরা সরাসরি আমাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি ধন্যবাদ বলে। কারো কোন সাহায্য, সহানুভূতি, বদন্যতা বা সদাচরণ দেখে আমরা ধন্যবাদ দেই। যাই হোক আমরা এ কাজটা প্রায় রুটিন মাফিক করে থাকি। কেউ যদি আপনাকে জিজ্ঞেস করে আপনি কেমন আছেন, আমরা যতই খারাপ থাকি না কেন আমরা স্বভাবগতভাবে এবং সামাজিক প্রথা অনুযায়ী বলে থাকি ভালো আছি। তেমনিভাবে কখনো কখনো আবার ধন্যবাদ দিয়ে থাকি।
Image by Author |
প্রকৃতপক্ষে কোন কিছু পেয়ে, দেখে, মনের ভিতর সত্যিকারের আনন্দ, সুখ ও গর্ব অনুভব করে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি? নাকি প্রথা রক্ষার জন্য অভ্যেস অনুযায়ী শুধু ধন্যবাদ জানাচ্ছি? কৃতজ্ঞ হয়ে ধন্যবাদ জানানো সম্পূর্ণ ভিন্ন ব্যাপার। যে কাজে বা সহায়তায় আপনি উপকৃত হয়েছেন, আপনার ভালো লেগেছে, সুখ বৃদ্ধি পেয়েছে আপনি সেটির জন্য নিশ্চয়ই আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ থাকবেন। আর মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য এটি খুবই প্রয়োজন। এখানে আমরা এই সত্যিকার ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতার কথা বলছি, সামাজিক নিয়ম রক্ষা বা ভদ্রতা দেখানোর ধন্যবাদের কথা নয়।
Image by Author |
উপরের যে দুই উপায়ে আমরা কৃতজ্ঞ থাকার কথা বলেছি সেগুলো নিয়মিত প্র্যাকটিস করতে পারি। তবে অবশ্যই মনের সন্তুষ্টি থেকে বা আন্তরিক কৃতজ্ঞতা থেকে তা করতে হবে। আপনি যে পদ্ধতিতেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন না কেন এটি প্রমাণিত করে যে এতে আপনার সুখ, স্বাস্থ্য ও মানসিক সন্তুষ্টি বৃদ্ধি পাবে। এটি এমন একটি শক্তিশালী আবেগ, যে কেউ, কখন, কিভাবে, উপকৃত করেছিল সেগুলো স্মরণ করতে পারলেই, আপনি ভিতর থেকে, মানসিকভাবে আরো ইতিবাচক অনুভব করবেন এবং নিজেকে তরতাজা অনুভব করবেন। একটি কথা বলা যায় যে, ধর্মপ্রাণ মানুষ সব সময় অধিক মানসিক স্বাস্থ্য সম্মত সুখী ও ভালো অনুভব করে যদিও তারা শত সমস্যাই থাকে এবং শত কষ্ট সত্ত্বেও আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা পোষণ করে ।
0 Comments
Feel free send us your options.